toner

টোনারঃ খুব কি জরুরী?

Toner Use

আপনার আর ক্লিন ক্লিয়ার স্কিনের ভেতরে বাঁধাটা কোথায়?

বাঁধা আপনার রুটিনের জাস্ট একটা প্রোডাক্টে…! আর সেটা হল টোনার !! জানি অনেকেই এখনও টোনার জিনিসটাকে স্কিনকেয়ারের একটাপার্টহিসেবেমেনেনেননি … আমি তো এমনও দেখছি যে অনেকে দাবি করছেন-

টোনার ফোনার কিচ্ছু না!! এসবই আরেকটা প্রোডাক্ট গছিয়ে দেয়ার ধান্দা…!!!

মাঝখানে পপুলারিটি কিছুটা কমে গেলেও কোরিয়ান ৭ স্টেপ বা ১০ স্টেপ স্কিনকেয়ারের জোয়ারে টোনারের একটা হাইপ যে ফিরে এসেছে আবার সেটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না!! কিন্তু পানির মতো এই প্রোডাক্ট স্কিনের আসলে কি কাজে লাগে সেটা নিয়ে কনফিউশনও পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। চলুন তারই একটা সলিউশন আজকে খোঁজা যাক!!

Ph toner

টোনার আসলে কি?

টোনার একটা ‘ইন বিটুইন’ একটা স্টেপ। এটা ইউজ করতে হবে ফেসওয়াশের পর আর যেকোনো ময়েসচারাইজিং স্টেপের আগে। টোনার বেসিক্যালি ডিজাইন করা হয়েছিল ফেসওয়াশ ইউজ করার পর স্কিনটা ব্যালেন্স করতে এবং স্কিনে রয়ে যাওয়া লাস্ট ডার্ট ডাস্টটুকু ক্লিন করতে। বাট সময়ের সাথে সাথে এখন টোনার গুলো এমনভাবে ফরমুলেট করা হচ্ছে যেন টোনার নিজেই স্কিনের কিছু প্রব্লেমস সল্ভ করতে পারে।

সো টোনার বেসিক্যালি ৩টা রিজনে ইউজ করা হয়

  1. স্কিনের লাস্ট ইম্পিওরিটি দূর করতে।
  2. ফেসওয়াশ এবং পানির সংস্পর্শে আসার পর স্কিনের বেড়ে যাওয়া পিএইচ সঠিক যায়গায় ফিরিয়ে আনতে।
  3. সাথে সাথে স্কিনের ছোট খাট কিছু প্রবলেম যেমন ডিহাইড্রেশন , পোর প্রবলেম , রিঙ্কেল এসবের মোকাবেলায় হেল্প করতে।

toner

কিভাবে ইউজ করব টোনার?

টোনার ইউজ করে ম্যাক্সিমাম বেনিফিট পাবার উপায় গুলো বলে দেই

  • একটা কটনপ্যাডে টোনার নিয়ে আপনার ফেস , নেক আর চেস্ট এরিয়ায় ওয়াইপ করুন হালকা ডাম্প স্কিনে। টোনার অ্যাপ্লাই করবেন ফেসওয়াশের পর হালকা ডাম্প স্কিনে এবং অন্য যেকোনো স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের আগে।
  • যদি ফেসওয়াশের পর কোনও ফেসমাস্ক ইউজ করেন সেক্ষেত্রে, ফেসমাস্ক সম্পূর্ণ ধুয়ে ফেলে ফেস শুকিয়ে তারপর টোনার কটন প্যাডে নিয়ে ইউজ করবেন।
  • টোনার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার দরকার নেই !!! বিগিনারদের অনেকেই এটা জানেন না।

toner

কিন্তু এটা ইউজ কেন করব ?

  • টোনারের বেসিক কাজটা হচ্ছে স্কিনের পিএইচ ঠিক রাখা। আমাদের কলের পানির পি এইচ ৭ বা তার বেশি, আমাদের স্কিনের পি এইচ ৫.৫… সো আমরা যখন পানি এবং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুই দেখা যায় ফেসওয়াশ পি এইচ ব্যালেন্সড হলেও পানির ঝাপটা দেবার সময় পি এইচ আবার লাফ দিয়ে একটু বেড়ে যায়। যা স্কিনের প্রয়োজনীয় ময়েসচার ব্যারিয়ারকে ড্যামেজ করে। আর দেখা যায় কি… আমাদের স্কিন নিজেকে নরমাল করতে ওভারটাইম কাজ করে !!

আর এখানেই টোনারের কারিকুরি!! টোনার চোখের পলকে স্কিনের পি এইচ নরমাল ৫.৫ এ নামিয়ে আনতে সাহায্য করে।

  • পোরের সাইজ রিডিউস করতে হেল্প করে। কটন বলে করে হালকা একটু টোনার মুখে বুলিয়ে এক্সট্রা ওয়েল, ডাস্ট ডার্ট টেনে নিলে পোরের আকার বেশ খানিকটা কমেই আসে… কিন্তু টোনারে যখন এসট্রিনজেন্ট প্রপারটিজ থাকে তখন সে কি করে?

এসট্রিনজেন্ট খুব দ্রুত মাসল সঙ্কোচনে হেল্প করে। সো স্কিনে এটা অ্যাপ্লাই করা হলে আমাদের সুক্ষ ফেসিয়াল মাসল এবং স্কিন একটু টান হয়ে যায়… ফলে পোরের খোলা মুখ এবং লুজ স্কিনও একটু টানটান হয়ে আসে। এতে করে স্কিনের পোরের আকার ছোট হয়। যেটা অনেকের জন্য একটা বড় সমস্যা।

  • ফেসওয়াশের পরপর স্কিন বেশ নাজুক থাকে। এই সময় টোনার স্কিনে একটা প্রটেকশনের লেয়ার অ্যাড করে এবং ঐযে বললাম ! ইমেডিয়েটলি পোর গুলো ক্লোজ করে ফেলে। সো চারপাশের কোনট্যামিনেশন এবং ইমপিওরিটি স্কিনে হুট করে অ্যাটাক করতে পারে না… !!
  • টোনারের হাইড্রেটিং উপাদান ডাম্প স্কিনে অ্যাপ্লাই করার সাথে সাথে স্কিনের ময়েসচার ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য কাজ করে।

সো… এখনও কি ভাবেন যে টোনার একেবারেই অপ্রয়োজনীয়ঃ

স্পেশালি আমাদের যাদের লার্জ পোর প্রবলেম আছে তাদেরতো এমনটা লাগার কথাই নয়! কারন পোরের সমস্যায় স্কিনকেয়ারের সবচেয়ে হেল্পফুল স্টেপ হচ্ছে টোনার !!

টোনার স্কিনকে প্রটেক্ট করে স্কিনের অ্যাবসর্পশন বাড়িয়ে দেয়… এতে করে টোনারের পড়ে যে সিরাম বা এসেন্স অ্যাপ্লাই করা হবে সেগুলো স্কিনের অনেক গভীরে গিয়ে তার কাজ করতে পারে। টোনার ইউজ না করলে যেখানে উল্টোটা হয়। স্কিন ডিহাইড্রেটেড হয়ে স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের এন্ট্রি বেশ অনেকটাই প্রতিরোধ করে…

সো যেভাবেই দেখি, টোনার কিন্তু একটা মাস্ট!! তাই না ? আপনারা কি বলেন …?

Leave a Reply

Your email address will not be published.