Antioxidant 10

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ১০

Antioxidant Product

বহুবারই হয়তো আমাদের বলতে শুনেছেন, কোনকিছুই অতিরিক্ত হওয়া ভালো নয়! নিজেদের লাইফের ক্ষেত্রে এটা যেমন সত্য, মজার বেপার হচ্ছে আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনের বেলায়ও এটা কিছু অংশ পর্যন্ত সত্য! কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করেন, এমন কিছু কি আছে যা স্কিনকেয়ারে অতিরিক্ত হয়ে গেলেও ক্ষতি কিছুই নেই!! যা আছে সবই বেনিফিট ??

তবে বলব – হ্যাঁ, আছে। এবং সেই একটি মাত্র এক্সেপশন হচ্ছে ‘অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট’(antioxidant) .

Trust us !! You really can’t get enough of it!!

ইয়েস… আপনি যা ভাবছেন আমিও অনেকটা তাই ভেবেছিলাম… কস্মেটিক দুনিয়ায় কদিন পরপরই বহু কিছু শোনা যায় তাই না?? এটা মাখলে রিঙ্কেল চলে যাবে, ওটা মাখলে ব্রন হওয়া কমে যাবে আরও কতকিছু!! কিন্তু এর মধ্যে কটা ক্লেইম আসলেই সায়েন্টিফিকালি প্রুভেন ?? বলুনতো?? খুবই কম!! রাইট?

কিন্তু এখানেই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অন্যান্য উপাদান থেকে আলাদা, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্কিনকেয়ারে যা যা বেনিফিট দেয় বলে ক্লেইম করে আমার নিজের স্কিনকেয়ার রিসার্চে বলে তার বেশ ভালো সায়েন্টিফিক ব্যাকিং আছে, সো গাঁজাখুরি বলে একে উড়িয়ে দেয়ার চান্স নেই!!!

তবে চলুন আলাপ করি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আসলে কি? সে কিভাবে কাজ করে এবং সবচেয়ে বেশি উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোনগুলো…

Antioxidant

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আসলে কি?

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মূলত ন্যাচারে এভেইলেবল উপাদান যা স্কিনকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। ‘ফ্রি র‍্যাডিকাল’ শব্দটা শুনতে অনেকটা রক ব্যান্ড নেমের মতো কুল শোনালেও এটা আসলে খুবই ভয়ঙ্কর একটা জিনিস।

এরা হচ্ছে আমাদের চারপাশে ঘুরে বেরান এমন কিছু মলিকিওল যাদের কাজই হচ্ছে আমাদের স্কিনের সাথে নিজেকে আটকে স্কিনের কোলাজেন এবং ইলাস্টিসিটি ভেঙ্গে ফেলে স্কিনে রিঙ্কেল ফাইনলাইন ফেলে দেয়া… সময় পার হবার সাথে সাথে ঠিক এই ফ্রি র‍্যাডিকালের কারনেই আমাদের স্কিনের বাউন্স নষ্ট হয় এবং আমরা বুড়িয়ে যাই।

সো এদের এই ভয়ঙ্কর ইফেক্ট প্রিভেন্ট করতেই আসলে কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট !

তো কিভাবে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আমাদের স্কিনকে প্রটেক্ট করে??

স্কিনের পলিউশন ডিফেন্সঃ

নিজের চোখে দেখা না গেলেও প্রতিদিনই কিন্তু পলিউশন আনার স্কিনের উপরে চাইল্যে যাচ্ছে টর্চার! যা ফিউচারে গিয়ে জন্ম দেবে স্যাগিং স্কিন, রিঙ্কেল আর ডালনেসের!! আজ পর্যন্ত হিউম্যান স্কিনের উপর হওয়া অনেক টেস্টে নিঃসন্দেহে জানা গেছে যে , স্কিনে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ইউজ করা হলে তা এসব পলিউশন এবং স্ট্রেসের ইফেক্ট গুলো প্রিভেন্ট করে এজিং-কে অনেকটাই দমিয়ে রাখতে সক্ষম !

 Antioxidant 10

ফার্ম বাউন্সি স্কিন পেতে অ্যান্টিঅক্সিডান্টঃ

আগেই বলেছি ফ্রি র‍্যাডিকাল কিভাবে স্কিনের কোলাজেন ইলাস্টিন ধ্বংস করে ত্বককে বুড়িয়ে দেয়… কিন্তু আপনি যদি স্কিনে ইউজ করেন অ্যান্টিঅক্সিডান্ট! তখন কি হবে জানেন? অ্যান্টিঅক্সিডান্ট স্কিনের সেলের সামনে দাড়িয়ে ফ্রি র‍্যাডিকেল গুলোকে প্রতিহত করবে। যেন সেগুলো আপনার সেল পর্যন্ত পৌঁছুতেই না পারে।

সো? আপনার স্কিন সেলগুলোও কিন্তু ফ্রি র‍্যাডিক্যাল দিয়ে ড্যামেজড হচ্ছে না!! অর্থাৎ, অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আপনার স্কিনের কোলাজেন ইলাস্টিন লেয়ার প্রটেক্ট করে আপনাকে দিচ্ছে বাউন্সি স্কিন লম্বা সময় পর্যন্ত !!

ব্রাইট স্কিনের জন্য ভিটামিন সিঃ

কিছু কিছু অ্যান্টিঅক্সিডান্ট উপরের কাজগুলোর সাথে সাথে স্কিনের কমপ্লেকশনকে ব্রাইট আর গ্লোইং রাখতেও কাজ করে! যেমন ভিটামিন সি !! স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে ভিটামিন সি – অ্যাসকরবিক এসিড, সোডিয়াম অ্যাসকরবাইল গ্লুকোসাইড সহ আরও বিভিন্ন ফর্মে পাওয়া যায়!!।

কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডান্ট। অ্যান্টি এজিং এবং ব্রাইটেনিং এই সব বেনিফিট পেতে চাইলে অবশ্যই হাই কিন্তু সেইফ কন্সেনট্রেশনের অ্যাসকরবিক এসিড ইউজ করা উচিৎ!! যেমন ১৫-১৮% ভিটামিন সি এসেন্স বা সিরাম ইত্যাদি !!

স্কিনকেয়ারে ইউজড অ্যান্টিঅক্সিডান্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন হচ্ছে- ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, রেসভিরাট্রল, অ্যাসটাজ্যানথিন এগুলো !! কিন্তু এগুলোর ভেতরেও সবচেয়ে ভালোভাবে রিসার্চ করা হয়েছে শুধু ভিটামিন সি নিয়ে!! ল্যাবরেটরি আর হিউম্যান টেস্ট সাবজেক্ট , দুইভাবেই!

অর্থাৎ , ভিটামিন সি স্কিনের উপরে ইউজ করা হলে আপনি সিওরলি কিছু বেনিফিট পাবেন এসম্পরকে সায়েন্সের কোনও সন্দেহ নেই…

সুতরাং, অযথা গাদা গাদা টাকা নষ্ট করে প্রমানবিহীন হাস্যকর সব উপাদানের পেছনে না ছুটে ১০০ ভাগ প্রমানিত কোনও উপাদানের উপরেই ভরসা রাখাটাইকি উচিৎ নয় ??

ফিউচারে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট নিয়ে হবে আরও অনেক আলাপ, জানব আরও অনেক কিছু… আজ তাহলে এটুকুই!!

 

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.