ডাবল ক্লিঞ্জিং- কেন জরুরী? জানেন কি ??
আমার তো ফেসওয়াশ দিয়েই সব ক্লিন হয়ে যায়,দুইবার মুখ ধুতে হবে কেন ?
This is why you need to jump on board the korean double cleansing bandwagon…
আপনি স্কিনকেয়ারে এক্কেবারে নতুন ? তবে ‘ডাবল ক্লিঞ্জিং’ শব্দটা শুনে নিশ্চয়ই ভ্রূ কুঁচকাবেন, তাই না?
কিন্তু আমি সিওর সব true DIEHARD K-Beauty fans খুব ভালোভাবে জানেন ‘ডাবল ক্লিঞ্জিং’ জিনিসটা কি… !!
হাজার টাইপের এসেন্স, সিরাম, মজার মজার মাস্ক আর কালারফুল মেকাপের ভিড়ে আমরা কখনোসখনো স্কিনকেয়ারের সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট আর বেসিক পয়েন্টটাই ভুলে যাই… কি সেটা ?
ক্লিন ফ্রেশ স্কিন… বা ক্লিঞ্জিং স্টেপ …
না…না আমি মিসেলার ওয়াটারের এক সোয়াইপ আর কোনোভাবে ঝড়ের বেগে ফেসওয়াশ ঘষে বেড়িয়ে যাবার কথা বলছি না…!! দিনের শেষে সারাদিনে মুখে জমে থাকা সব ধূলা ময়লা, হালকা বা ভারী মেকআপ, সানস্ক্রিন, ঘাম সব কিভাবে ১০০% ক্লিন করা সম্ভব তারই একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করছি… এজন্যই ডাবল ক্লিঞ্জিং সম্পর্কে সবকিছু জানাটা আপনার জন্য মাস্ট !
তো…! কি এই ডাবল ক্লিঞ্জিং ?
ডাবল ক্লিঞ্জিং-এর নামকরণের সার্থকতা ষোলআনা ! কারণ দুইবার মুখটা ক্লিন করা হয় এই প্রসেসে নিচের দুটো ডিফারেন্ট টাইপের ক্লিঞ্জার দিয়ে…
১। ওয়েল ক্লিঞ্জার / ক্লিঞ্জিং বাম
২। ট্রেডিশনাল ফোমিং ফেসওয়াশ
স্টেপ ১ এর ক্লিঞ্জার স্কিনের অয়েল/সেবাম, সানস্ক্রিন মেকআপ সব খুব দ্রুত ব্রেকডাউন করে স্কিনের সব বোঝা পানির সাথে ওয়াশ করে নিয়ে যায়… , নরমাল ফেসওয়াশের পক্ষে স্কিন থেকে সানস্ক্রিন বা মেকআপ সম্পূর্ণ পরিস্কার করা সম্ভব নয়।
স্কিনের উপরের এক্সট্রা আবর্জনা ক্লিন করার পর আসে ‘স্কিন’ টাকে ভেতর থেকে পরিস্কার করার পালা। যা করবে সেকেন্ড স্টেপের পিএইচ ব্যালেন্সড ফোমিং ফেসওয়াশ। ফেসওয়াশ আপনার পোরের ভেতরে জমে থাকা ডেডসেল, সেবাম সহ সব ইমপিওরিটি ডিপলি ক্লিন করবে।
সো আপনার স্কিনের থেকে দুই ধরনের (অর্থাৎ স্কিনের উপরের এবং পোরের ভেতরের) আবর্জনাই কিন্তু পুরোপুরি ক্লিন হয়ে যাচ্ছে। যা কোনভাবেই একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে অ্যাচিভ করা একেবারেই ইম্পসিবল !!
কিভাবে করবো ডাবল ক্লিঞ্জিং ?
বুঝতে পেরেছেন তো? কেন ডাবল ক্লিঞ্জিং জরুরী? এবার আসি কোন ক্লিঞ্জার কিভাবে ইউজ করবেন, সেই টপিকে-
- এভিনিং রুটিনে ডাবল ক্লিঞ্জিং-
- – রাতে ঘরে ফিরে বা দিনের শেষে সানস্ক্রিন আর সারাদিন স্কিনে থাকা প্রোডাক্টস ক্লিন করতে তুলে নিন একটা ভালো কোয়ালিটির ক্লিঞ্জার/ ওয়েল ক্লিঞ্জার তারপর ফেইস্ওয়াশ, যারা ওয়েল ক্লিঞ্জার তারপর ফেইসওয়াশ এত কিছু করতে হবে শুনেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন তাদের জন্য আছে ফোমিং ক্রিম ক্লিঞ্জার যেমন JNH Sseng Eol 3 in 1 cleanser যা সানস্ক্রিন এবং মেকআপ ক্লিন করে যেকোনো প্রপার ওয়েল ক্লিঞ্জারের মতই)
3 in 1 কিভাবে ইউজ করবেন ?
– আগেই মুখ ভেজাবেন না ! শুকনো হাতে ২-৩ পাম্প ক্লিঞ্জার নিয়ে ডিরেক্ট ফেসে অ্যাপ্লাই করুন। এবার ম্যাসাজ করুন খুব আলত হাতে… জোর করার দরকার নেই। ক্লিঞ্জার নিজে থেকেই সব ওয়াটারপ্রুফ মেকাপ, আই মেকাপ, জেদি লিপস্টিক স্টেইন ব্রেকডাউন করবে।
– ২-৩ মিনিট খুব হালকা ম্যাসাজে পুরো মুখ থেকে মেকাপের লাস্ট কণাটুকু ব্রেকডাউন করুন। এবার হাতে অল্প পানি নিয়ে ফেসে অ্যাপ্লাই করুন – এবার দেখুন ম্যাজিক! আপনার ক্লিঞ্জার পানির টাচে আসার সাথে সাথে ইমালসিফায়েড হয়ে সব মেকাপ এবং সানস্ক্রিন ধুয়ে নিয়ে চলে যাবে। –
ব্যস!! হয়ে গেল আপনার স্কিনের ডাবল ক্লিঞ্জিং
মর্নিং রুটিনে কি হবে?
রাতে ডাবল ক্লিঞ্জিং সানস্ক্রিন মেকাপ ক্লিন করবে তাতো বুঝলাম? কিন্তু সকালে তো এসবের কিছুই মুখে থাকে না! তখনও কি ডাবল ক্লিঞ্জিং দরকার ??
এইতো ভাবছেন? তাইনা ??
ঠিক ধরেছেন, সকালে স্কিনের ডাবল ক্লিঞ্জিং মাস্ট নয়। তাই সকালে স্কিন টাইপ হিসেবে শুধু একটি ফেসওয়াশ ইউজ করলেই যথেষ্ট! আবার স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই/ ডিহাইড্রেটেড হলে ফেসওয়াশের বদলে ক্লিঞ্জারও ইউজ করতে পারেন… নো প্রবলেম !!
ডাবল ক্লিঞ্জিং কি মেকাপ রিমুভারের চেয়ে ভালো ?
হ্যাঁ… কনফিডেন্টলি বললাম… কেন?
গতানুগতিক মেকাপ রিমুভার কটনবল/ প্যাডে নিয়ে চোখ ঠোঁট এসব সেনসিটিভ স্কিনে কি জোর করেই না রাব করতে হয়!!
রোজ রোজ সানস্ক্রিন আর হালকা মেকাপ রিমুভ করতে এমন রাব করলে রিঙ্কেল ফাইনলাইনস ঠেকাবেন কিভাবে বলুন??
আবার , ক্লিঞ্জারের বদলে তেল দিয়ে মেকাপ রিমুভ করবেন ভাবছেন ??
তেল ওয়াটারপ্রুফ মেকাপ ব্রেকডাউন করবে ঠিকই… কিন্তু সে ইমালসিফায়েড হয়ে কোন রেসিডিউ না রেখে কখনোই পানির সাথে ধুয়ে যাবে না! এটা ইম্পসিবল…
স্কিনে রয়ে যাওয়া মেকাপ পার্টিকেল আর তেলের লেয়ার তোলার জন্য মুখে ২-৩ বার ফেসওয়াশ দিয়ে আবারো স্টার্ট করতে হবে rubbing & tugging … সো আবারো রিঙ্কেলের রিস্ক!!
আর স্কিনের গভীরে এই তেল আর মেকাপ যদি রয়ে যায়?? তবে সিওর থাকেন নেক্সট দিনে ঘুম থেকে উঠেই ‘ব্রন’ নামক অতিথির দেখা পাবেন…
সো সব মিলিয়ে, JNH 3 in 1 ই কি SAFEST OPTION নয়… ??