cause Of Acne

ব্রন কেন হয় ? জানেন ?

ছোটবেলায় মুখে ব্রন হতো মাঝে মাঝে… হয়তো তখন বড়রা বলত- টেনশন করিসনা, বড় হলে চলে যাবে…

এরপর টিনএজ ক্রস করলেন… পা দিলেন বিশের কোঠায়… কিন্তু কই? ব্রন তো কমলো না ! তবে কি এই কুৎসিত ব্রনের হাত থেকে রেহাই নেই আর??

স্কিনের দশা নিয়ে ঠিক এই মুহূর্তে এসেই আমরা একটু হতাশ হয়ে যাই তাই না?? টিনএজ থেকে অ্যাডাল্ট হয়ে মুখে থোকা থোকা ব্রনের ব্যাপারটা মেনে নেয়া কঠিন। কিন্তু কি জানেন? মুখে ব্রনের প্রবলেম হওয়াটা কিন্তু আপনি যত রেয়ার মনে করছেন অতটা নয়! শুধু আপনিই নন আরও অনেকেই ব্রনের প্রবলেমে ভুগছে।

কিন্তু — ব্রন কিভাবে সারবে?? এই প্রশ্ন করার আগে আমাদের জানা উচিৎ ব্রন হচ্ছে কেন? আপনি কি সিওর? আপনার ব্রনের পেছনের রিজনগুলো আপনি জানেন??

চলুন জানি ব্রন হবার কিছু সায়েন্টিফিকালি প্রমানিত রিজনস…

জেনেটিক্সঃ

যদিও মেনে নেয়া কঠিন হবে তবুও এটা সত্যি , আপনার জেনেটিক্সের কারনে আপনার ব্রন হয়তো অন্যকারো চেয়ে বেশি হচ্ছে! জেনেটিক্স ব্রন এবং ব্রেকআউটের উপর কতটা প্রভাব ফেলে সেটা ২০০২ সালে ১৫০০ মতো জমজ মানুষের উপরে রিসার্চ চাইয়ে দেখা হয়েছে। রিসার্চে দেখা গেছে প্রায় ৮১% ক্ষেত্রে ব্রনের কারণটা জেনেটিক!

বাকি ১৯% ক্ষেত্রে বাইরের কোন ফ্যাক্টর থেকে ব্রন তৈরি হচ্ছে! আপনার খুব ক্লোজ এবং ইমেডিইয়েট ফ্যামিলির যদি ব্রনের প্রবলেম থাকে তবে আপনারও ব্রন হবার চান্স নরমালের চেয়ে ৪ গুন বেশি থাকবে। এটাই সত্যি!

এবার দেখি জেনেটিক্স ছাড়াও আর কি কি কারনে ব্রন হতে পারে…

হরমোনাল রিজনঃ

Testosterone হরমোনের ইম্ব্যালেন্সের কারনে স্কিনের সেবাম গ্ল্যান্ড অতিরিক্ত ওয়েল প্রডিউস করে। এতে স্কিনে ব্রেকআউট বেশি হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে প্রেগ্ন্যান্সি এবং পিরিয়ডের সময় হরমনাল চেঞ্জ থেকে হঠাৎ ব্রন হবার প্রবণতা দেখা যায়। হরমোনাল ইম্ব্যালেন্স কনট্রোল করা গেলে এধরনের ব্রেকআউট কনট্রোল করাও পসিবল। তাই কোন হরমনাল রোগের জন্য রুট কজটা আগে ট্রিট করতে হবে।

খাবার থেকেও ব্রন বাড়ার পসিবিলিটি আছে!

হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবার ব্রন বাড়ায়। এধরনের খাবারগুলো হচ্ছে মোটামুটি সবধরনের সাদা প্রসেসড শর্করা। যেমন সাদা চিনি, ময়দা, পাস্তা, পাউরুটি এসব। এছাড়াও ডেইরি থেকে অনেক ক্ষেত্রে হরমনাল ইম্ব্যালেন্স হয়ে ব্রেকআউট হতে পারে। তাই ব্রনের প্রবলেম থাকলে হরমোন ইনজেকশন দেয়া বা স্টেরয়েড দেয়া ফার্মের ডেইরি প্রোডাক্ট এভয়েড করা বেটার। চিজ, বাটার এসব পরিমিত খেতে হবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এভয়েড করতে হবে।

স্ট্রেস-ও একটা বড় কালপ্রিটঃ

স্ট্রেসে চলে গেলেই যে আপনার ব্রন হবে এমনটা নয়, বাট স্ট্রেস বেশি হলে সেটা আপনার হরমোনের উপরে প্রভাব ফেলে! স্ট্রেসে থাকলে বডিতে অ্যানড্রোজেন প্রোডাকশন বেড়ে যায়। এতে সেবাম গ্ল্যান্ড থেকে অতিরিক্ত সেবাম বেরতে শুরু হয়। ফলাফল? ব্রন আর ব্রেকআউট।

পানি কতটুকু খাচ্ছেন?

হ্যাঁ এটাও ম্যাটার করে। কেন? কারণ আপনি যে পানিটা রোজ খাচ্ছেন সেটাই কিন্তু আপনার স্কিন ময়েসচারাইজড রাখছে ভেতর থেকে! কিন্তু আপনি যদি ডেইলি ৩ লিটার পানি না খান সেক্ষেত্রে আপনার স্কিন হবে ডিহাইড্রেটেড। এক্ষেত্রে আপনার স্কিন নিজেকে প্রটেক্ট করতে অতিরিক্ত ওয়েল তৈরি করে ত্বকে পানি ধরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাবে। আর অতিরিক্ত ওয়েলের রেজাল্ট হিসেবে ত্বকে তৈরি হবে ছোট বড় ব্রনের উৎপাত!!

ওভার ক্লিঞ্জিং!!

বারবার মুখ ধবার হ্যাবিট আছে আপনার? ভাবছেন স্কিনের লাস্ট তেলের কণাটা তুলে ফেললেই ব্রন কমে যাবে?? ভুল ভাবছেন!! অতিরিক্ত মুখ ধোঁয়া এবং হারস স্ক্রাবিং দুটোই স্কিনকে ডিহাইড্রেট করে এবং ত্বকের বাইরের লেয়ারে ক্ষত তৈরি করে। এই ক্ষত থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে আরও বেশি ব্রেকআউট , rash হতে পারে!!

পলিউশন আছে সাথে গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো!!

বাইরে পলিউশন দিনদিন বাড়ছেই! আর বাইরে গেলে ঘাম তেলের সাথে আটকে যাচ্ছে বাতাসে থাকা সব ক্ষতিকর পলিউশন পার্টিকল!! যা ত্বকের গভীরে ঢুকে তৈরি করছে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন, ব্রন, হোয়াইটহেড , ব্ল্যাকহেড এবং rash!!

পলিউশন থেকে ব্রন হওয়া ঠেকাতে অবশ্যই স্কিনকেয়ারে ডিপ ক্লিঞ্জিং এবং ডাবল ক্লিঞ্জিং-এর হ্যাবিট তৈরি করা জরুরী!

আপনার চুলের দিকে নজর দিন!

ফেস ডেইলি দুইবার ক্লিন করছেন ডিপলি কিন্তু একি ভাবে আপনি কিন্তু রোজ ২ বার চুল পরিস্কার করেন না তাই না? পসিবলও নয়… কিন্তু এই ময়লা চুল থেকে তেল, ধূলা ময়লা, খুশকি যখন আপনার ফেসে এসে পড়ছে তা কিন্তু আপনার ফেসে ভয়ঙ্কর ব্রনের ঝামেলা তৈরিতে যথেষ্ট!! সো চুল অপরিস্কার থাকলে তা যেন কোনভাবেই আপনার সেন্সিটিভ ফেসিয়াল স্কিন টাচ না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ব্যাংস, লেয়ার এসব হেডব্যান্ড দিয়ে মুখ থেকে দূরে সরান। চুলে তেল দিলে ২ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। এতে ব্রনের রিস্ক কমবে

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.